বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২১

কবিতা ৬

 আবার এক বসন্ত। পুরোনো দিনের অপ্রয়োজনীয় সঞ্চয় ছেড়ে, 

গতানুগতিকতার চিহ্ন মুছে নিজের শর্তে জীবনযাপন। 

একাকী নিজ সত্ত্বায় লীন। সমাজমুক্ত বিহঙ্গ জীবন।

পথ কেটে এগিয়ে চলা। পলাশের কুঁড়িতে স্বপ্ন ফোটে। 

ভোরের কুয়াশা ভাঙা কুসুম সূর্য্য , আলোয় ভরায় সম্মুখের পথ। 

জীবনপাতায়, সময়ের ভুষির কাজলে অপরাজিতার চোখের মায়ায় 

ঈশ্বর ধরা দেন। জীবন যাকে পুরস্কৃত করে সেই জানে।

বিদ্যুতের আলো তার কপালে শান্তির টিকা এঁকে দেয়। 

কৃষ্ণচূড়ার লালিমায় রাঙা তার চিবুক।  সমাজের পাঁকে, 

শিশিরধোয়া এক পদ্মফুল। নিরুপায় সমাজ আজ আর কি করতে পারে,

কিছু নিন্দামন্দ ছাড়া? রতিসজ্জা সম্পন্ন করে 

সে জীবনের আনন্দযজ্ঞে আসন পাতে। 

মহাকাল স্বয়ং সেই 'বিরজা' হোমে পৌরোহিত্য করেন, 

আর করেন বজ্র দিয়ে আশীর্বাদ।অগ্নিশুদ্ধা জীবনে, 

নতুন নাম হয় তার, আগ্নেয়া।বজ্র হাতে নিয়ে সে পথে নামে,

নতুন  আলোকিত জীবনের সন্ধানে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কবিতা ৮ ।

 সপ্তসিন্ধু পার করে লখিন্দর ফেরে ঘরে।সাথে করে  বিবিধ রতন। শঙ্খ বাজে, উলু দেয় এয়োতি, পুরজন। বাপ তার, চন্দ্র সওদাগর। লখার সাফল্যে মুখে তার  গো...