বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২১

প্রশ্ন

 প্লাটফর্মের বেঞ্চে বসে আছে এক আটপৌরে মেয়ে, দুহাতে দুটি শাঁখা, সিঁথিতে সিঁদুর। কোলে এক শিশু। জিজ্ঞাসা করি তাকে, কোথায় যাবে? এক সব হারানো সুরে বলে, জানি না। .....খেয়েছো কিছু? জবাব দেয় না ,দুই চোখ জলে ভরা, চুপ করে থাকে। শিশুটি মায়ের আঁচল নিয়ে খেলায় মত্ত। ধীরে ধীরে বলে, বিবাহিতা সে, কিন্তু স্বামী  নেয় না। অবাক হই, বলি বাবা মা? দুচোখ মুছে নেয়, তারপর বলে, সবাই আছে তার, কিন্তু কেউ বাড়িতে রাখবে না। তাকে ফিরে যেতে হবে শ্বশুরবাড়ি। তারাও কেউ নেবে না ফিরিয়ে। তাহলে সে কোথায় যাবে? মনে ভাবি, এই সামাজিক সমস্যার সমাধান কোথায়? একবিংশ শতাব্দী, শিক্ষিত সমাজ, তবু মেয়েদের এই সমস্যার সমাধান , আজ পর্যন্ত আবিষ্কার হলো না কেন?


বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২১

কবিতা ৬

 আবার এক বসন্ত। পুরোনো দিনের অপ্রয়োজনীয় সঞ্চয় ছেড়ে, 

গতানুগতিকতার চিহ্ন মুছে নিজের শর্তে জীবনযাপন। 

একাকী নিজ সত্ত্বায় লীন। সমাজমুক্ত বিহঙ্গ জীবন।

পথ কেটে এগিয়ে চলা। পলাশের কুঁড়িতে স্বপ্ন ফোটে। 

ভোরের কুয়াশা ভাঙা কুসুম সূর্য্য , আলোয় ভরায় সম্মুখের পথ। 

জীবনপাতায়, সময়ের ভুষির কাজলে অপরাজিতার চোখের মায়ায় 

ঈশ্বর ধরা দেন। জীবন যাকে পুরস্কৃত করে সেই জানে।

বিদ্যুতের আলো তার কপালে শান্তির টিকা এঁকে দেয়। 

কৃষ্ণচূড়ার লালিমায় রাঙা তার চিবুক।  সমাজের পাঁকে, 

শিশিরধোয়া এক পদ্মফুল। নিরুপায় সমাজ আজ আর কি করতে পারে,

কিছু নিন্দামন্দ ছাড়া? রতিসজ্জা সম্পন্ন করে 

সে জীবনের আনন্দযজ্ঞে আসন পাতে। 

মহাকাল স্বয়ং সেই 'বিরজা' হোমে পৌরোহিত্য করেন, 

আর করেন বজ্র দিয়ে আশীর্বাদ।অগ্নিশুদ্ধা জীবনে, 

নতুন নাম হয় তার, আগ্নেয়া।বজ্র হাতে নিয়ে সে পথে নামে,

নতুন  আলোকিত জীবনের সন্ধানে।

শনিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২১

কবিতা ৫

 আগুনের ফুলকিরা সূর্যের দেশে উড়ে যায়,

ডানায় স্বাধীনতা মেখে। ছাইটুকু বেঁচে আছে

আগুনের স্মৃতি বুকে নিয়ে। ফুঁয়ের ঘুমভাঙানি গানে

তার হৃদপিন্ড, বাঁশিতে বাজায় জীবনের রাগিনী।

ছোঁয়া যায় না তাকে, পুড়ে যায় হাত।

জীবন্ত আগুন জেগে থাকে, রাতেও।

আলো দেয়, দেয় ভরসার উষ্ণতাও।

সেই উষ্ণতার জিয়নকাঠির ছোঁয়ায়

মৃত জোনাকিরা জেগে ওঠে,

সমাজের ছায়াপথে আগুন দিয়ে স্বপ্ন এঁকে যায়।

স্বাপদদের মস্তিষ্কের চিলেকোঠায়

বেজে ওঠে ভয়ের রাগিনী।

আগুনের মাধুরীতে মধুময় হবে আগামীর পৃথিবী।

কবিতা ৮ ।

 সপ্তসিন্ধু পার করে লখিন্দর ফেরে ঘরে।সাথে করে  বিবিধ রতন। শঙ্খ বাজে, উলু দেয় এয়োতি, পুরজন। বাপ তার, চন্দ্র সওদাগর। লখার সাফল্যে মুখে তার  গো...